গ্রাম আদালত
স্থানীয়ভাবে বিরোধ নিস্পত্তির উপর গুরুত্বারুপ ১৯৬১ সালে সালিশী আদালত অধ্যাদেশ জারী করা হয়। পরবর্তীতে সময়ের পরিবর্তনের সাথে সামঞ্জস্য রেখে উক্ত শালিসী আদালত বাতিল করে ১৯৭৬ সালে গ্রাম আদালত অধ্যাদেশ ও বিধিমালা জারী করা হয়। গ্রাম আদালত অধ্যাদেশের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদকে বিচার কার্য সম্পাদনের দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। এই আইনের অধীনে গ্রামাঞ্চলে সংঘটিত মামুলী অপরাধ সমূহের বিচার সহজভাবে ইউনিয়ন পর্যায়েই সম্পন্ন করা হয়।
· গ্রাম আদালত গঠন:৫ জন সদস্য যথা- ইউ.পি চেয়ারম্যান এবং বাদী ও বিবাদী পক্ষের ২জন করে ৪ জন প্রতিনিধি নিয়ে গ্রাম আদালত গঠিত হবে।
· গ্রাম আদালতের এখতিয়ার:
o কোন গ্রাম আদালত সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের মধ্যে সংঘটিত অপরাধের বিচার করতে পারবে। [ধারা৬(১)(২)]
o গ্রাম আদালত কর্তৃক বিচারযোগ্য মামলার বিচার করা কোন ফৌজদারী বা দেওয়ানী আদালতের এখতিয়ার বহির্ভূত। [ধারা-৩(১)
· গ্রাম আদালতের ক্ষমতা:
o ফৌজদারী অপরাধের ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্থ ব্যাক্তিকে ৫০০০/- টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিতে পারে।
o আদালত অবমাননার জন্য সর্বোচ্চ ৫০০/- এবং দলিল দাখিল বা সমন নিতে অস্বীকার করলে সর্বোচ্চ ২৫০/- জরিমানা করতে পারে।
o
· গ্রাম আদালতে বিচার যোগ্য মামলা:
ক) তফসিলের ১ম অংশ (ফৌজদারী মামলা):
o দন্ডবিধির ১৬০,৩২৩,৩৩৪,৩৪১,৩৪২,৩৫২,৩৫৮,৪২৬,৪৪৭,৫০৪৪, ৫০৮,৫০৯, ৫১০ ধারার অপরাধ এবং বিবিধ;
o দন্ডবিধির ৪০৩, ৪০৬,৪১৭,৪২০ এবং ৪২৭,৪২৮,৪২৯ ধারার অপরাধ বা ক্ষতির পরিমাণ বা মূল্য যতি ২৫,০০০/- টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে।
খ) তফসিলের ২য় অংশ (দেওয়ানী মামলা):
o চুক্তি, রশিদ বা অন্যান্য দলিলের ভিত্তিতে পাওনা অর্থ আদায়ের পরিমাণ;
o অস্থাবর সম্পত্তি বা ইহার মূল্য;
o অন্যায় ভাবে অস্থাবর সম্পত্তি দখল বা ক্ষতি সাধনের জন্য ক্ষতির পরিমাণ;
যদি ২৫,০০০/- টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস