আমাদেরঅর্থনীতিতে কৃষির অবদান অনস্বীকার্য। কৃষকদের প্রায় প্রতিদিনই বীজ, ফসল ওজমি সংক্রান্ত কোনো না কোনো সমস্যায় পড়তে হয়। সর্বসাধারণকে তথ্য ওআনুষঙ্গিক সেবা প্রদানের উদ্দেশ্যে পরিচালিত ইউনিয়ন তথ্য ও সেবাকেন্দ্র। একটি ফসলের পরিচিতি কৃষকদের উদ্দেশে:
ব্রি ধান৫৬ জাত পরিচিতি
ব্রি ধান৫৬ এর কৌলিক সারিটি আমত্মর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এর IR 55419-4 এবং WAY RAREM নামক স্থানীয় খরাসহিষ্ণু জাতের সাথে দুইবার পশ্চাৎসংকরায়ন করে বংশানুμম সিলেকশান এর মাধ্যমে উদ্ভাবিত। পরবর্তীতে ২০০৯ এবং২০১০ সালে বাংলাদেশের খরাপ্রবণ এলাকায় কৌলিক সারিটি ফলন পরীক্ষায়সসেত্মাষজনক হওয়ায় বীজবোর্ড কর্তৃক ২০১১ সালে চুড়াত্মভাবে অনুমোদিত হয়।
· জাতের বৈশিষ্ট্য:
বর্ধণশীল পর্যায়ে গাছের আকার ও আকৃতি বিআর১১ এর চেয়ে লমবা। পূর্ণবয়স্ক গাছের উচ্চতা ১১৫ সেমি।4
এ জাতের ডিগ পাতা খাড়া ও লম্বা, পাতার রং গাঢ় সবুজ এবং পাকা ধানের রং লালচে।4
ধানের দানার রং স্বর্ণা জাতের মত, তবে একটু মোটা ও লম্বা ।4
১০০০ টি পুষ্ট ধানের ওজন প্রায় ২৩.৬ গ্রাম।4
চালের আকার আকৃতি লম্বা ও মোটা এবং রং সাদা।4
· এ জাতের বিশেষ প্রয়োজনীয়তা
ব্রি ধান ৫৬ এর জীবনকাল বিনা ধান৭ এর চেয়ে ৫ দিন এবং ব্রি ধান৩৩ এর চেয়ে ১০দিন আগাম। ব্রি ধান৫৬ একটি খরা সহনশীল জাত। প্রজনন পর্যায়ে সর্বোচ্চ ১০-১২দিন বৃষ্টি না হলেও ফলনের তেমন কোন ক্ষতি হয় না। সে সময় ভূগর্ভস্থ পানিরসত্মর ভূপৃষ্ঠ থেকে ৭০-৮০ সেমি নিচে থাকলে এবং মাটির আর্দ্রতা ২০% এর নীচেহলেও এ জাতটি হেক্টরে সর্বোচ্চ ৩.৫ টন ফলন দিতে সক্ষম।
· জীবনকাল: এ জাতের জীবন কাল ১০৫-১১০ দিন।
· ফলন :উপযুক্ত পরিচর্যা পেলে ব্রি ধান৫৬ এর ফলন হেক্টরে ৪.৫- ৫.০ টন পর্যমত্ম পাওয়া যায়।
· চাষাবাদ পদ্ধতি: এ ধানের চাষাবাদ অন্যান্য উফশী রোপা আমন জাতের মতই। মাঝারি উঁচু থেকে উঁচু জমি এ ধান চাষের জন্য উপযুক্ত।নিম্নে এর চাষাবাদ পদ্ধতি আলোচনা করা হলো:
1. বীজতলায় বীজ বপন : ১৫ - ৩০ জুলাই অর্থাৎ ৩১ আষাঢ় থেকে ১৫ শ্রাবণ।
2. চারার বয়স : ২০-২৫ দিন।
3. ৩. রোপণ দূরত্ব : ২০ x ১৫ সেন্টিমিটার।
4. ৪. সার ব্যবস্থাপনা (কেজি/বিঘা) : ৪.১ ইউরিয়া টিএসপি এমপি জিপসাম জিঙ্ক ২২ ১২ ৭.৫ ৭ ১, ৪.২ সর্বশেষ জমি চাষের সময় সবটুকু টিএসপি, জিঙ্ক সালফেট, জিপসাম এবং অর্ধেকএমপি সার প্রয়োগ করা উচিত। ইউরিয়া সার সমান দুই কিসিত্মত যথা রোপনের ১০দিন পর ১ম কিসিত্ম, ২০-২৫ দিন পর ২য় কিসিত্ম প্রয়োগ করতে হবে। বাকী অর্ধেকএমপি সার ইউরিয়া উপরি প্রয়োগের সাথে প্রয়োগ করতে হবে। জিঙ্কের অভাবপরিলক্ষিত হলে জিঙ্ক সালফেট এবং সালফারের অভাব পরিলতি হলে জিপসাম ইউরিয়ারমত উপরি প্রয়োগ করতে হবে। তবে এলসিসি ভিত্তিক ইউরিয়া সার প্রয়োগ করা উত্তম।
5. আগাছা দমন : রোপণের পর অমত্মত ৩০-৩৫ দিন জমি আগাছামুক্ত রাখতে হবে।
6. সেচ ব্যস্থাপনা : চাল শক্ত হওয়া পর্যমত্ম প্রয়োজনে সম্পূরক সেচ দিতে হবে।
7. রোগবালাই দমন : ব্রি ধান৫৬ এ রোগ বালাই ও পোকামাকড়ের আμমন প্রচলিত জাতেরচেয়ে অনেক কম হয়। তবে রোগবালাই ও পোকা মাকড়ের আμমণ দেখা দিলে বালাইনাশকপ্রয়োগ করা উচিৎ।
8. ফসল কাটা : ১৫-২০ কার্তিক (৩০ অক্টোবর-৫ নভেম্বর)। ব্রি ধান৫৬
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস